Ticker

6/recent/ticker-posts

একে করোনায় রক্ষা নেই দোসর হল হান্টা



করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামলাতে নাজেহাল হচ্ছে বিশ্ব। সার্স-কোভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনকে রোখার ভ্যাকসিন বা ড্রাগ এখনও পর্যন্ত সেইভাবে সামনে আনতে পারেননি বিজ্ঞানী-গবেষকরা। মৃত্যু বেড়েই চলেছে। আতঙ্কের এই পরিবেশে এবার হানা দিল আরও এক প্রাণঘাতী ভাইরাস। নাম হান্টাভাইরাস বা অর্থোহান্টাভাইরাস (orthohantavirus ) উৎসও সেই চিন দেশ


চিনের এক ব্যক্তির দেহ পরীক্ষা করে অদ্ভুত এই হান্টা ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। চায়নার গ্লোবাল টাইমস টুইট করেছে যে ইউনান প্রদেশের এই ব্যক্তি সোমবার একটি বাসে কাজের জন্য শানডং প্রদেশে ফেরার পথে মারা যান। সেই সঙ্গে বাসে থাকা অন্য ৩২ জন ব্যক্তিকেও ভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। এবং সেই ৩২ জনের মধ্যে এই মারণ ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে।
কী এই হান্টাভাইরাস?
অর্থোহান্টাভাইরাস বা হান্টাভাইরাসও সার্স-কভ-২ এর মতো সিঙ্গল-স্ট্র্যান্ডেড, নেগেটিভ-সেন্স আরএনএ ভাইরাস (RNA Virus)হান্টাভিরিডি গোত্রের (Hantaviridae) এই ভাইরাসের উৎস বা রিজার্ভর (Reservoir)হল ইঁদুর, কাঠবিড়ালি এই জাতীয় প্রাণী। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, হান্টাভাইরাসও প্রাণঘাতী এক ভাইরাস পরিবারের সদস্য। ইঁদুর জাতীয় প্রাণী থেকে এরা ছড়ায়, অথচ ইঁদুরের শরীরে সংক্রমণ বাসা বাঁধে না। এই মারণ ভাইরাসের বাহক হল ইঁদুর জাতীয় প্রাণীরা, সেখান থেকে মানুষের শরীরেও বাসা বাঁধে তারা।





লক্ষণ
লক্ষণ হল, মাথাধরা, ঝিমুনি, জ্বর, পেশিতে ব্যথা, বমিভাব ও পেটের গোলমাল। এগুলি প্রাথমিক লক্ষণ, এরপর শুরু হবে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট, কমে যাবে রক্তচাপ। এই রোগটি বায়ুবাহিত নয় এবং কেবলমাত্র যদি লোকেরা ইঁদুরের প্রস্রাব, মল, লালা এবং সংক্রামিত ব্যক্তির কামড়ের সম্মুখীন হয় তবেই আক্রান্ত হয়। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে পরে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং এই ভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

সংক্রমণ রোধের প্রাথমিক কৌশল
গবেষকরা বলছেন, করোনার মতো ওতটা মারাত্মক পরিস্থিতি হয়তো তৈরি হবে না। কারণ এই ভাইরাস করোনার মতো মানুষের শরীরে এতটা ছড়িয়ে পড়ে না।সিডিসি অনুসারে, ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণই হল হান্টাভাইরাস সংক্রমণ রোধের প্রাথমিক কৌশল।
ইতিহাস 
দক্ষিণ কোরিয়ার হান্টান নদীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।কোরীয় যুদ্ধের (১৯৫১-১৯৫৩) সময় অজানা কারণে ৩০০০-এর বেশি মার্কিন ও কোরিয়ান সৈন্য রেনাল ফেইলর, রক্তক্ষরণ এবং শক জনিত অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে মার্কিন ভাইরোলজিস্ট কার্ল এম. জনসন, কোরিয়ান ভাইরোলজিস্ট হো ওয়াং লি এবং তাদের সহকর্মীরা স্ট্রাইপড ফিল্ড ইঁদুরের ফুসফুস থেকে হ্যান্টান ভাইরাসকে শনাক্ত করেন এবং এটিকেই সৈন্যদের অসুস্থতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। 



তথ্য ঋণ : দ্য ওয়াল , এবিপি আনন্দ , কলকাতা টাইমস ২৪, উইকিপিডিয়া 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ

আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে !